আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিরাপত্তার অভাব, এমনকী প্রাণ হারানোর ভয় চেপে ধরেছিল তাঁকে। সেই ভয়েই বাংলাদেশ থেকে একপ্রকার পালিয়ে চলে এসেছিলেন। স্বীকারোক্তি বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ হাথুরুসিংঘের।
গত অক্টোবরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তার পরে জল বহুদূর গড়ায়। বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ''বাংলাদেশের সিইও আমাকে বলেছিলেন, আমার চলে যাওয়াই উচিত।''
তাঁর ফিরে যাওয়ার টিকিট রয়েছে কিনা, সেই কথা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচকে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে তিনি বলেন, ''এটা আমার কাছে একপ্রকার সতর্কতাই ছিল। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।''
বাংলাদেশের কোচ থাকাকালীন হাথুরুসিংঘের সঙ্গে সবসময়ে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন। থাকতেন ড্রাইভার। বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচের কথায়, বাংলাদেশের সিইও তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, নিরাপত্তারক্ষী তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কিনা।
এদিকে দেশ ছেড়ে চলে আসার আগে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সময়ে তিনি জানতে পারেন তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, তাঁর হাতে হেনস্থা হয়েছেন এক ক্রিকেটার। টিভিতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে এই খবরই তুলে ধরা হয়েছিল।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সেই খবর টিভিতে দেখার পরে হাথুরুসিংঘেকে জানান, ''লোক আপনাকে রাস্তায় দেখলে ফলাফল ভাল নাও হতে পারে।'' সেই কথায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ। তিনি বলেন, ''বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করার জন্য আমাকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হতে পারত।''
ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময় বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল হাথুরুসিংঘের বিরুদ্ধে। সেই হাথুরু স্বীকার করেন বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসার সময়ে তিনি প্রাণের ভয় পেয়েছিলেন।
